ভোরের কুয়াশায় ভরা, সিক্ত সেই শিশির
ঘাসের আদলে চেপে থাকে।
মাঠের এপার থেকে ওপারের দৃষ্টি,
অস্বচ্ছ স্মৃতি-বিজড়িত একটি ভাবনা।
মাঠের ভেতর তাকানো সেই দুলদুল
সরিষার বাতাস,
হৃদয় ছুয়ে দেয় হলুদ আভায়।
আকাশের নীল রঙের মাঝে
রোদ্দুরের সেই উঁকি, আমাকে ডাকে।
নদীর কলকল ঢেউ,
কানে আজও বাজে।
রাস্তায় সাইকেলের সেই দিনগুলি,
আজও মনে পড়ে।
বৈশাখের ঝড়ে আম কুড়ানোর দিনগুলো,
আবার সিক্ত স্মৃতি জাগায়।
পুকুরে গোসলের দিনগুলো,
আজও গা ভিজিয়ে যায়।
বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনগুলো,
আজ মনে পড়ে এই শহুরে জীবনে।
তাই না, কি পার্থক্য!
এই শহুরে এর গ্রাম্য জীবনের মাঝে।
শহুরে এই জীবন আজ খাঁচায় বন্দি।
আর মস্তিষ্কে বন্দি স্মৃতি কি জান?
একটি গ্রামের স্মৃতি!
গ্রামের স্মৃতি-গুলো বড়ই রঙিন।
ছেলেবেলার সেই দুষ্টুমি,
হাসি-কান্না, ঠাট্টা-আড্ডা
আরও কত কি!
আমতলায় আম মাখানোর সেই দিন,
এই খানে আর পাই না খুঁজে।
সেই নিস্তব্ধ বিকেলের সাধ আর পাই না খুঁজে।
সেই আপন গল্প চরিত্র গুলো আর পাই না খুঁজে।
মানুষ! মানুষ আজ বড়ই আশ্চর্য।
কেউ খুঁজে না আমায়!
গ্রামের সেই স্মৃতিগুলো মন ভেঙ্গে দিয়ে যায়।
“আজও খুঁজে পাই স্বপ্ন-সায়রে সেই স্মৃতির ছায়া,
আজও বেঁচে আছি স্বপ্ন নিয়ে সেই স্মৃতির মায়ায়”