রাত ৩ টা বাজে। সারাদিন বারান্দায় যাওয়া হয় নি। অবশ্য না যাওয়ার পিছনে কারণও ছিলো অনেক।
বারান্দায় দাড়িয়ে হালকা বাতাসে শীত লাগছিলো। আকাশ মেঘলা। অপলক দৃষ্টিতে বেশ কিছুক্ষণ দোকানটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। এইতো! গতকাল সকাল এ এখানেই ছুড়ি ধরেছিলো আমাকে.. একজন ছিনতাইকারী। নিজের বুদ্ধির জোরে ও স্রষ্টার অসীম দয়ায় এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম। কিন্তু কেন জানি ঘটনাটা মাথায় চেপে বসেছে। তাই এই রাতেও বারান্দায় গিয়ে জায়গাটার দিকে তাকিয়ে আছি।
পাশে রাধাচূড়া গাছে অনেকগুলা ফুল ফুটে আছে। কিন্তু আজ যেন কোনো কিছুই বিমোহিত করছে না। বাতাস আগের মতো থাকলেও শীত করছে অনেক। তাকিয়ে আছি।যে ধরেছিলো আমার চেয়ে খুব একটা বড় না। কিন্তু যেখানে আমি কাঁধে ব্যাগ চাপিয়ে পড়াশুনায় মগ্ন। সেই একই সমাজ এ হাতে ছুড়ি নিয়ে ছিনতাই করতে ব্যস্ত ছেলেটা। হয়তো রাগের মাথায় ছুড়ি টা আঘাত করছে কতো মানুষের শরীরে। এটাই আমাদের সমাজ। এটাই বাস্তবতা।
আমরা যেখানে আয়েশ করে বাবা মা-র স্নেহে বড় হচ্ছি, সেই না পাওয়া স্নেহের কষ্ট ভুলতে হয়তো কোনো নেশার দ্রব্য হাতে তুলে নিতে এ পথে হাটছে ছেলেটা। শুধু নিজের দিকটা আমরা সব সময় ভাবি। ছেলেটা বা মেয়েটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! কিন্তু কেন সে পথ টা বেছে নিয়েছে তা নিয়ে নেই কারো মাথা ব্যাথা। এটাই আমাদের সমাজ! এটাই বাস্তবতা।
লেখালেখি করা আমার নেশা ! পেশা না.. লিখতে ভালোবাসি তাই লিখি। তবে স্বপ্ন দেখি এই লেখা দিয়েই মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার।