আজ আমর দুঃখ করার দিন।
না না,ব্যক্তিগত বিষয়।পারিবারিক জীবন ছাড়াও
জীবনের পরতে পরতে দুঃখের কি আর স্থানের অভাব!!
কতস্মৃতি বিস্মৃতির অতল গহ্বর থেকে জেগে উঠছে।
জানেন,হুরুহুরি পড়ে গেছে বেদনারা কে কার আগে আসবে।
মস্তিষ্কে আলোড়ন তুলে হৃদয় আমার কাপিয়ে দিল,কতক কেবল আবছা আলোর ন্যায়।
এক কিশোরী,একটি নয়া অনুভূতি আর চিরিদনের আফসোস।
কখনো নজরুল বা রবীন্দ্রনাথে ধার করিনি অনুভূতি প্রকাশে।
আবেগে মোড়ানো সদ্য জন্ম নেয়া আমার কবিতারা থাকত চিরকুটের গভীরে।
ভাবলে হাসি পায়।
ছাড়া লিখে ভাবতাম, এইত হল প্রেয়সীর তরে অমর কবিতা।
তবু,এমন কবিতা এত মমতা দিয়ে আর কি লিখেছি তাকে হারনের পরে!
কই কেউ তো বলেনি,তুমিই আমার প্রিয় কবি।
কবিতারা আর সিক্ত হয়নি চোখের জলে,জলের ছবি কেউ আকেনি।
স্নান সেরে ভেজা চুল ছড়িয়ে দিয়ে আমার সামনে আসত।
মনে হত,প্রতিটা ফোটায় আমি মিশে যাচ্ছি ওর শরীরে,ওর অস্তিত্বে।
এত স্নিগ্ধতা আর সজীবতা তবু হৃদয় জুড়ে বিসুভিয়াসের তাপ।
আমি দগ্ধ হলাম,আমি শুদ্ধ হলাম।
পাওয়া-না পাওয়া কে বুঝত? ভালবাসি তাই ভালবেসেছি।
বিয়ে-চাকরি-বয়স কে বুঝত এত দামী!!
সব জেনে প্রেম হয়না তাকে বলি চুক্তিপত্র।
নাই বা পেলাম তাহার দেহের দখলদারী,
গভীর রাতে দুজন বলি দুই পৃথিবীর দু প্রান্ত থেকে,
“তাহারেই পড়ে মনে”।