মেঘনার তীরে যে গ্রামে ছিল আমার পৈত্রিক নিবাস,
তারই পাশের গ্রামে ছিল ছেলেটির বাস।
কথা বলত কম সে মনোযোগী বেশি,
তার চোখে ঘৃণিত তারই স্বদেশী।
বলছি তাহলে শুনুন তার কাছে ঘৃণিত নিয়মকানুন,
কেননা সে বলত অনাহারে থাকবে কেন কেউ যদি জ্বলে উনুন।
রাগে ক্ষোভে সে জ্বলত বারবার সে বঞ্চিতের কথা বলত,
বঞ্চিত শোষিতের পাশে সে চলত।
তার কবিতায় উঠত সূর বিক্ষোভ,
শোষক শাসকের প্রতি ছিল তার ক্ষোভ।
অতঃপর একদিন ছেলেটি দিল তার স্বপ্ন দেশে পাড়ি,
যেথা নেই অহংকারের বাড়াবাড়ি কিংবা বৈষম্যের ট্রাম গাড়ি।
নেই শোষকের শোষণ জ্বালা ভার,
নেই বিদ্রুপের জ্বালা বুকে তার।
সেথা তার চোখে পড়েনি কোন ব্যথিত বক্ষ,
কিংবা সে দেখেনি কোনো নির্যাতিতের কক্ষ।
একত্রে মিলে সেথা সবে মুছিত মনের ক্ষত,
মানুষজন পরষ্পর হত পারষ্পরিক সাহায্যরত।
যদিও ব্যক্তি ক্ষুদ্র তথাপি আমি ভদ্র, কি বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি? ব্যবহারই বলবে আমি বামুন না শুদ্র।