লাইভ ফ্রম ঢাকা অত্যন্ত চমকপ্রদ একটা সিনেমা। কিন্তু অন্যসকলের মত এটাও নির্ভুল কোনো সিনেমা না, আর নির্মাতার প্রথম ছবি অনুযায়ী নির্ভুল আশাও করা যায় না। টেকনিক্যাল কিছু জিনিসপত্র নিয়া আলোচনা করি।
১. সিনেমার নাম দিয়েই বুঝা যায় ঢাকাকেন্দ্রীক একটা গল্প বলার চেষ্টা করা হইসে। এখন ঢাকা মানে কী শুধু ওভারব্রিজ, শহরের পাশে বস্তি, সিটি লাইটস? না, ঢাকা আরো অনেক বেশি বিস্তৃত। নির্মাতার শতভাগ অধিকার আছে টাইম এন্ড স্পেস নিয়ে খেলার। কিন্তু সিনেমার শুরু থেকে যখন আধাডকুমেন্টারি ট্রিটমেন্ট এবং রিয়াল ইভেন্টের ফিকটিশিয়াস উপস্থাপন, তখনই বুঝতে পারা যায় , নির্মাতা ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড না বরং বাস্তব টাইম এন্ড স্পেসে গিয়া গল্পটা বলতে চান। এখন হুট কইরা কেও আইসা যদি বলে – লাইভ ফ্রম ঢাকা টাঙাইলের প্রেক্ষাপটের গল্প, তাহলে কাউন্টার কিছু বলার থাকে না। কন্টেন্ট ইউনির্ভাসাল হইলেও লোকেশনের কিঞ্চিত ধোঁয়াশা সিনেমায় আছে (এতে সিনেমার মেরিট নষ্ট হয়নাই)। কয়েকটা শটে সামান্য ডিটেলিং থাকলেই সিনেমার স্পেস টা আরো বেশি স্পেসিফিক হতে পারত।
২. সাজ্জাদের ইচ্ছা ছিল ‘রাশিয়া’ যাওয়ার। কিন্তু সাজ্জাদের মুল চাহিদার কেন্দ্রবিন্দু কিন্তু ‘Hope for Better Living.’ এখন রাশিয়ায় যাওয়ার যে ড্রিম সিকুয়েন্স তার চলে,মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে সেই ড্রিম সিকুয়েন্স নাই কেন? সে তো বেটার লিভিং এর আশা ছাড়েনাই। তাই ড্রিম সিকুয়েন্স যেহেতু ব্যাবহার করে ভিজুয়াল ইস্টাবলিশমেন্ট করাই হইলো, সেটা আরো বেশি জোড়ালো করলে ব্যাপারটা সুন্দর হতে পারত। অতিরিক্ত তেল চর্বিহীন সলিড এন্ড কনক্রিট সিনেমা বানাইতে গিয়া কিছু ডিটেলিং নির্মাতা মিস করে গেছেন।
৩. সিনেমার শুরু থেকেই সাজ্জাদ-রেহানার সম্পর্কের বৈরিতা এবং সন্দেহপ্রবনতা আমরা দেখতে পাই। রেহানার অফিস শেষ হইলে সাজ্জাদ তাকে বাড়ি পর্যন্ত ড্রপ করে, এতটুকুই তাদের প্রেম করার পরিধি। কিন্তু এই প্রেমের পরিধি নিয়া সেক্স, পিল, এবোরশনের মুড কোনোভাবেই তৈরি হয়না।
লাইভ ফ্রম ঢাকা আমার দেখা সেরা বাংলা সিনেমাগুলার একটা। প্রত্যেকের উচিত সিনেমাটা দেখে আসা।
Muzahidul Islam Zahin is a student and a film enthusiast. He loves to make films and tries to describe a film according to his own philosophy. Already he had made many Fictions and Ad. He loves to travel, write script and play guitar.